প্রতিষ্ঠাতা (Founder)

‘সুন্দর পৃথিবীর জন্য স্কাউটিং’, “পৃথিবীকে যেমন পেয়েছো তার চেয়ে একটু শ্রেষ্ঠতর করে রেখে যেতে চেষ্টা করো”- এ ধরনের মহান বাণী আমাদের আদর্শ মানুষ হতে অনুপ্রেরণা যোগায়। পৃথিবীতে অনেক মহামানব স্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁদের মহানকর্মের জন্য। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব সবার অনুকরণীয় আদর্শ রবার্ট স্টিফেনশন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল। সংক্ষেপে বি.পি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে এই নাম। স্কাউটস আন্দোলনের জনক বি.পি-র আদর্শে অনুপ্রাণিত স্কাউটরা সবার ভালোবাসা পায়, কারণ তারা কাজ করে সমাজের মঙ্গলের জন্য নিঃসার্থভাবে । এই স্কাউটদের গড়ার কাজে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশে অতিপরিচিত একটি নাম মোসফিকুর রহমান। আর এই নামের সঙ্গে অবশ্যম্ভাবী একটি প্রতিষ্ঠানের নাম এসে পড়ে, তা হচ্ছে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমহাদল’। এই দুটি নাম যেন পরিপূরক। একজন মানুষ একটি সংগঠনের জন্য কত বেশি ত্যাগী হতে পারে তার দৃষ্টান- মোসফিকুর রহমান।একটি প্রতিষ্ঠানকে সন-ানবৎ মানুষ করে তিনি আজ বাংলাদেশ স্কাউটস এ একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশ স্কাউটস এর সাথে জড়িত এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি মোসফিকুর রহমানকে চেনেন না, জানেন না চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমহাদলের কথা।

জন্মঃ কৃতী স্কাউটার, সংগঠক মোসফিকুর রহমানের জন্ম আম, কাঁসা-পিতল, লাক্ষার জন্য বিখ্যাত, গম্ভীরা, আলকাপ মেয়েলী গীতের মতো অনন্য লোকসংস্কৃতির লীলাভূমি হযরত শাহ্‌ নেয়ামতুল্লা (রহঃ) র পুণ্যস্মৃতিধন্য বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের স্মৃতিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বর্ধিষু মহল্লা হুজরাপুরে ১৯৫৯ সালের ১৪ই জানুয়ারি। তাঁর পিতা রেজাউর রহমান, মাতা ফাতেমা বেগম। পিতা-মাতার ছয় সন-ানের মধ্যে মোসফিকুর রহমান সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর অন্যান্য ভাই-বোনেরা হলেন মোসাঃ মনওয়ারা বেগম, মোঃ ওবায়দুর রহমান (সফল স্কাউট), মোঃ মজিবুর রহমান (সফল স্কাউট), মোসাঃ রওশন আরা বেগম (সফল গার্লস-গাইড) ও মোসাঃ দিলারা বেগম (সফল গার্লস-গাইড)। পিতা মাতার সর্বকনিষ্ঠ সন-ান হওয়ায় অন্যান্যদের চেয়ে তিনি বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতেন। আর তাই লেখাপড়ার প্রতি তাঁর কিছুটা উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। তবে ছোটবেলা থেকেই সমাজসেবার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল লক্ষ্যনীয়।

শিক্ষাঃ

মোসফিকুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় তৎকালীন মহকুমা শহর নবাবগঞ্জ এর কামাল উদ্দিন প্রিপ্যারেটরি স্কুলে। ১৯৬২ সালে তিনি উক্ত স্কুলে ভর্তি হন। প্রাথমিক শিক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে ১৯৬৮ সালে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে (প্রতিষ্ঠা ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) ভর্তি হন। মাঝে তিনি কিছুদিন ঢাকায় টি.এণ্ড.টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও পাবনায় সেলিম নাজির উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৭৩ সালে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাস করেন। তারপর ভর্তি হন নবাবগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবসি'ত মহাবিদ্যালয় নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে (প্রতিষ্ঠা ১৯৫৫খ্রিষ্টাব্দ)। এই কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। শুরু হয় স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যয়নের পর্ব। কিন' পড়াশোনার প্রতি তাঁর তেমন আগ্রহ ছিলোনা। আগ্রহ ছিল মহান ব্যাডেন পাওয়েল প্রতিষ্ঠিত স্কাউটিং এর মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবী গড়ার দিকে।

কিছুদিন বিরতি শিক্ষা জীবনের, তারপর শুরু হলো বর্ণাঢ্য সাংগঠনিক তৎপরতার বিরামহীন কার্যক্রম। উপজেলা, জেলা, অঞ্চল, জাতীয় এবং আন-র্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকলো তাঁর সাংগঠনিক তৎপরতার খবর। এই বিস-ৃত জগতে চলতে থাকলো তাঁর সরব পদচারণা।

আবারও পারিবারিকভাবে শুরু হলো পড়াশুনার প্রতি তাগাদা। অনেকটা অনিচ্ছা সত্বেও হাতে তুলে নিলেন বইখাতা। অবশেষে অর্জিত হলো এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম। এই ডিগ্রী অর্জনের মাধ্যমেই তিনি ইতি টানলেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন থেকে।

পারিবারিক জীবনঃ

একজন সংগঠক হিসেবে মোসফিকুর রহমানের সাফল্য যেমন ঈর্ষণীয় তেমনি পারিবারিক জীবনেও তিনি একজন সফল অভিভাবক। যদিও মুক্তমহাদলকে নিয়েই তিনি সারাজীবন কাটিয়ে দেবেন, আবদ্ধ হবেন না কোন বন্ধনে - এই ছিল তাঁর জীবনের লক্ষ্য। কিন' তবুও পারিবারিক চাপ উপেক্ষা করতে না পেরে ১৯৮৪ সালের ৩০ মার্চ তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ে করেন স্কাউট পরিবারে। মোঃ ইয়াসিন আলী পেশায় শিক্ষক, নেশায় স্কাউট। নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের এই খ্যাতিমান স্কাউটারের বড় মেয়ে উম্মে কুলসুমের সঙ্গে এক শুভক্ষণে তাঁর বিবাহ হয়। স্কাউট পরিবারের মেয়ে হওযায় সংগঠক মোসফিকুর রহমানের সাংগঠনিক তৎপরতাকে তিনি কখনই বিরূপভাবে দেখেননি। আর তাই তাদের সংসার জীবন হয়েছে সুখময়। মোসফিকুর রহমান ৩ পুত্র সন-ানের জনক। বড় ছেলে রায়হানুর রহমান পাওয়েল (স্কাউটিং এর জনক ব্যাডেন পাওয়েলের নামানুসারে ডাক নাম রাখা হয়েছে) এবং তিন জনের নামেই প্রথম ‘প’ অক্ষর রয়েছে। বড়ছেলে পাওয়েল বর্তমানে রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাষ্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। পাওয়েল স্কাউটিং এর সাথে ইউনিট লিডার বেসিক কোর্সও সম্পন্ন করেছে। মেজো ছেলে রেজওয়ানুর রহমান প্রতিম বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত। সে থাইল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত ২০তম বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরী, মৌচাক গাজীপুরে অনুষ্ঠিত ৭ম বাংলাদেশ ৪র্থ সার্ক স্কাউট জাম্বুরী ও ১ম জাতীয় সৃজনী স্কাউট ক্যাম্পসহ একাধিক স্কাউট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এবং বয়স ভিত্তিক টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে ব্‌্েরাঞ্জ ও রৌপ্য পদক অর্জন করেছে। ছোট ছেলে রাশিদুর রহমান প্রসন্ন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। সেও ৬ষ্ঠ জাতীয় কাব ক্যাম্পুরী, ৪র্থ জাতীয় কমডেকা ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টেনারী কমডেকাসহ একাধিক স্কাউট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। এক কথায় ছেলেদেরও স্কাউটিং জগতে পদচারণা করিয়ে সুষ্ঠুভাবে মানুষ করছেন তিনি। একজন সফল সংগঠকই পারেন নতুন জগত সৃষ্টি করতে। স্কাউটিং এর জগত এক সমৃদ্ধির জগত, সুন্দর শানি-ময় পৃথিবী গড়ার জগত। এ পথে পদচারণা করা অত্যন- কষ্টসাধ্য, পদে পদে যার প্রতিবন্ধকতা। অথচ এই বন্ধুর পথে অত্যন- সাবলীল ভাবে পথ চলেছেন মোসফিকুর রহমান।

সাংগঠনিক নির্বাহী ও অনির্বাহী পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালনের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

স্কাউটার মোঃ মোসফিকুর রহমান প্রশাসনিক ভাবে স'ানীয় স্কাউটস সহ-সম্পাদক ১৯৮১-৮৪, জেলা স্কাউটস সহ-সম্পাদক ১৯৮৪-৮৯, উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক ১৯৮৫-৯৪, রাজশাহী আঞ্চলিক স্কাউটস প্রতিনিধি সদস্য ১৯৮৮-৯১, জেলা স্কাউটস সহ-সম্পাদক ১৯৯১-৯৯, আঞ্চলিক উপ-কমিশনার (এক্‌্রটেনশন) রাজশাহী অঞ্চল ১৯৯৮-২০০১, আঞ্চলিক উপ-কমিশনার (বিধি) রাজশাহী অঞ্চল ২০০১-২০০৫, সদস্য, জনসংযোগ ও মার্কেটিং কমিটি, বাংলাদেশ স্কাউটস ২০০৬-২০০৮, জেলা স্কাউটস সম্পাদক ২০০১ থেকে এবং জুলাই, ২০০৮ হতে বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় উপ-কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) এবং বর্তমানে জাতীয় উপ-কমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্কাউটিং এর বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতার অধিকারী মোসফিকুর রহমান স্কাউটার, কন্টিনজেন্ট লিডার ও কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে অদ্যাবধি স'ানীয় ও আঞ্চলিক সকল সমাবেশ, ক্যাম্পুরীসহ ৬টি জাতীয় কাব ক্যাম্পুরী, ৮টি জাতীয় স্কাউট জাম্বুরী, প্রথম জাতীয় রোভার মুটসহ বেশ ক’টি রোভার মুট, সৃজনী ক্যাম্প, অ্যাগোনরী, কমডেকা, জাতীয় শতবর্ষ স্কাউট ক্যাম্প, জাম্বুরী অন দ্যা ট্রেন ও ৬ষ্ঠ সাফ স্কাউট ফ্রেন্ডশীপ ক্যাম্প বাস-বায়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ওরিয়েন্টেশন কোর্স, ইন্দাবা ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম রাজশাহী আঞ্চলিক কাব ক্যাম্পুরীর আয়োজন ও বাস-বায়নে সক্রিয় অবদান রাখেন। ১৯৯১ সালে থেকে বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রশিক্ষণ টিমের সদস্য (সহকারী লিডার ট্রেনার) হিসেবে ১২ টি ইউনিট লিডার বেসিক ও এ্যাডভান্স কোর্সে প্রশিক্ষক এবং ১৩টি ইউনিট লিডার বেসিক কোর্সে কোর্স লিডারের দায়িত্ব পালন করেন।

সম্মানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত : উডব্যাজ (স্কাউট) - ১৯৮৫, উডব্যাজ (কাব) - ১৯৯৫, এ.এল.টি - ১৯৯১.

আন-র্জাতিক পর্যায়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৭তম বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরীতে তিনি বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের সহ-কন্টিনজেন্ট লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কাউটিংয়ের সকল ক্ষেত্রে তিনি তাঁর ধারাবাহিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ইতোপূর্বে ন্যাশনাল সার্টিফিকেট -১৯৮৭, মেডেল অব মেরিট -১৯৯৪, বার-টু-দি মেডেল অব মেরিট -২০০০, সি.এন.সি’জ অ্যাওয়ার্ড -২০০১ ও ২০০৮ সালে সভাপতি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

স্কাউটিংয়ের পাশাপাশি স্কাউটার মোসফিকুর রহমান সমাজসেবামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য- নাটাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কার্যনির্বাহী সদস্য- নবাবগঞ্জ ক্লাব, সাধারণ পরিষদ সদস্য- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস'া, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি আজীবন সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতি- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ক্লাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার, জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রোগী কল্যাণ সমিতি- চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমহাদল এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমহাদল বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কর্তৃক তিনবার জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিশু সংগঠন হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। তিনি একাধারে উপজেলা স্কাউটস এর দ্বিতল ভবন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমহাদল এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চারতলা ভবন নির্মাণসহ সামপ্রতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাঁর শ্রমের ফল হিসেবে ও একজন সফল সংগঠক হিসেবে ইতোমধ্যে ১২ পি.এস তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন এবং বর্তমানে আরো পি.এস প্রাপ্তি প্রক্রিয়াধীন।

মোসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমহাদল আন-র্জাতিক পর্যায়ে ১৭তম ও ২০তম বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরীসহ বিভিন্ন জাম্বুরী ও মুটে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমহাদলের বিভিন্ন নামে ২৬টি সচিত্র স্মরণিকা প্রকাশ, শিশু স্বাস'্য প্রকল্প পরিচালনা, ১৯৮৫ সালে স্কাউট (শিশু) পাঠাগার প্রতিষ্ঠা, স্কাউটদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সংগীত প্রশিক্ষনালয় ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর ইউনিটের দু’জন স্কাউটার পর্যায়ক্রমে ন্যাশনাল সার্টিফিকেট ও মেডেল অব মেরিট এবং কাব ও স্কাউট শাখায় বেশ কয়েকজন স্কাউটার উডব্যাজ পার্চমেন্ট অর্জন করেছেন।